স্ট্রোকে ফিজিওথেরাপি
স্ট্রোকের উপসর্গ
স্ট্রোকের পর শরীরের এক পাশ অথবা অনেক সময় দুই পাশ অবশ হয়ে যায়।
মাংসপেশির টোন প্রাথমিক পর্যায়ে কমে যায়। পরে আস্তে আস্তে টোন বাড়তে থাকে অথবা হাত ও পায়ের মাংশপেশি দুর্বল ও নরম হয়ে যায়।
হাত ও পায়ে ব্যথা থাকতে পারে, নড়াচড়া সম্পূর্ণ অথবা আংশিকভাবে কমে যেতে পারে। মাংসপেশি শুকিয়ে অথবা শক্ত হয়ে যেতে পারে।
শোল্ডার বা ঘাড়ের জোড় বা জয়েন্ট সরে যেতে পারে। কথা বলারও সমস্যা দেখা দিতে পারে।
স্ট্রোকের চিকিৎসা
এ রোগীর চিকিৎসার জন্য মাল্টিডিসিপ্লিনারি টিম বা বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। এই টিমে থাকেন নিউরোলজিস্ট, জেনারেল ফিজিশিয়ান, ফিজিওথেরাপিস্ট, অকুপেশনাল থেরাপিস্ট, নার্স, ভোকেশনাল ট্রেনার প্রমুখ।
ওষুধ স্ট্রোকের রোগীকে মেডিকেলি স্থিত করতে পারলেও শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে পারে না। স্ট্রোক-পরবর্তী সমস্যাগুলো দূর করে শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজন সঠিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা।
মেকানিক্যাল চিকিৎসা
আইআরআর (ইনফ্রারেড রেডিয়েশন), প্যারাফিন ওয়াক্স প্যাক ও ইলেকট্রিক্যাল স্টিমুলেশন রোগীর অবস্থার ওপর নির্ভর করে দিতে হবে।
ম্যানুয়াল চিকিৎসা
ব্রিদিং টেকনিকের মাধ্যমে শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক করা। সঠিক পজিশনিংয়ের মাধ্যমে বেড সোর (ঘা) প্রতিরোধ করা।
স্ট্রেচিং, স্ট্রেনদেনিং ও হোল্ড-রিল্যাক্স টেকনিকের মাধ্যমে মাংসপেশির স্বাভাবিক দৈর্ঘ্য বজায় রাখা।
বেড মবিলিটি টেকনিকের মাধ্যমে রোগীকে বিছানায় শোয়া থেকে বসা ও দাঁড়ানোর প্র্যাকটিস করানো।
প্যাসিভ মুভমেন্টের মাধ্যমে মাংসপেশির স্বাভাবিক টান ফিরিয়ে আনা ও শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টের স্বাভাবিক নাড়ানোর ক্ষমতা বা মুভমেন্ট ফিরিয়ে আনা।
ব্যালান্স ও কো-অর্ডিনেশন টেকনিকের মাধ্যমে এগুলো উন্নত করা এবং গেট রি-এডুকেশনের মাধ্যমে স্বাভাবিক হাঁটার সক্ষমতা ফিরিয়ে আনা।
রোগীর কর্মদক্ষতা বাড়ানো। রোগীর মানসিক অবস্থা উন্নত করা।
ম্যানডেটরি অ্যাসিস্টিভ ডিভাইস
রোগীর অবস্থার ওপর ভিত্তি করে রোগীকে হুইলচেয়ার, ক্রাচ, ফ্রেম বা স্টিক ব্যবহার করতে হবে।
Post a Comment